নবীজির বিড়ালের নাম কি ছিল?
নবিজীর বিড়াল ছানা:
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হল আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লালল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম। যিনি তুলনা ও উপমাহীন। কোনো গুন দিয়েই ওনার সমকক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। পুরো বিশ্বের একমাত্র আইডল। মানব – দানব প্রানহীন জড়বস্তু সবকিছুই রাসুলুল্লাহ সাঃকে সম্মান করতো রাসুলও সবকিছুকে মন উজাড় করে মহব্বত করতেন রাসুলুল্লাহ সাঃ কোনোদিন কোন পশুপাখিকে কষ্ট দিয়েছেন বলে শুনা যায়নি এজন্যই পুরো প্রাণীজগত ওনার ওপর দরুদ সালাম পাঠ করে।
নবীজির বিড়ালের নাম কি ছিল?
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ঘরেও কিছু বিড়াল ছানা বসবাস করেছিল পরম যত্নে ও ভালোবাসায়। মুহাম্মদ (সা:) এর এক আদরের বিড়াল ছিল – তার নাম ছিল ” মুয়েজ্জা” একদিন তার পবিত্র পরিচ্ছদের একাংশে বিড়ালটা পরম ভালোবেসে ঘুমিয়েছিলো। মুহাম্মদ (সা) তাকে টেনে তোলেননি, পোশাক ঝাড়া দেননি, লাথি মেরে দূর দূর করে তাড়িয়েও দেননি।after
ঘুম ভেঙে যেতে পারে ভেবে, পাছে বিড়ালটির কষ্ট হয় – তাই গায়ে হাত বুলিয়ে ডাকও দেননি। তিনি যা করেছেন, তা কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা – বাস্তবে করাতো অনেক দূরের ব্যাপার! মুহাম্মদ (সা:) আলতো করে ঘুমন্ত বিড়ালটার সমপরিমাণ জায়গা রেখে – বাকি কাপড়টুকু কেটে ফেলেছিলেন। ছেড়া পোশাকটি গায়ে চড়িয়ে দিব্যি নামাজে রওনা দিলেন।
একদিন এক প্রসিদ্ধ সাহাবী বিড়াল ছানা কোলে নিয়ে খেলছেন। তিনি নতুন না বেশ কয়েকবার বিড়াল কোলে নিয়ে আদর করতে করতে মসজিদে আসতেন। নবী মুহাম্মদ (সা) এর কাছে ধর্ম শিক্ষা গ্রহণ করতেন। কোলে বিড়ালকে আদর করতে থাকা অবস্থায় মুহাম্মদ (সা:) তাকে কাছে ডাকলেন। এই বিড়ালের বাপ এদিকে আসো। ভদ্রলোকের ভ্রু কুঁচকে যায়নি সরল বোকা মানুষের মতো মুচকি হাসলেন । Read More Articles
প্রিয় শিক্ষকের এই ডাকটা তার মনে ধরেছে খুব। সিদ্ধান্ত নিলেন নিজের নামটাই বদলে ফেলবেন। নবীর ভালোবাসার নিদর্শনের দরুন আমরা সবাই তাকে বিড়ালের বাপ বলেই ডাকি। সহীহ হাদিসের সর্বোচ্চ পরিশুদ্ধ বর্ণনাকারী হিসেবে তিনিই “আবু হুরায়রা” নামে পরিচিত। মক্কা সহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে বিড়ালের অবাধ অনুপ্রবেশ। এরা প্রত্যেক ইবাদতকারীর পাশেই ঘুমায়, গা ঘেঁষে বসে থাকে যেখানে সেখানে। মানুষের আদর ভালোবাসায় লাই দিয়ে গড়া অদ্ভুত এই বিলাসপ্রবণ প্রাণী!
কাবশাহ্ বিনতু কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ছিলেন আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ)-এর পুত্রবধূ। আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) তাঁর নিকট ছিলেন। তিনি তাঁর জন্য ওযুর পানি ঢাললেন। একটি বিড়াল এলো এবং ওযুর পাত্র হতে পানি পান করতে লাগলো। আর তিনি পাত্রটি তার জন্য কাত করে ধরলেন যে পর্যন্ত পান করা শেষ না হলো।
আরো পড়ুন: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ১০টি উপায়
কাবশাহ্ বলেন, তিনি আমার দিকে তাকিয়ে দেখলেন, আমি তাঁর দিকে চেয়ে আছি। তিনি আমাকে বললেন, আমার ভাতিজী! তোমার কাছে আশ্চর্য লাগছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিড়াল নাপাক নয়। এটা তোমাদের আশে পাশে ঘন ঘন বিচরণকারী বা বিচরণকারিণী।
(মালিক, আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ্ ও দারিমী)
সহীহ : মালিক ৪৪, আহমাদ ২২০৭৪, আবূ দাঊদ ৭৫, তিরমিযী ৯২, নাসায়ী ৬৮, ইবনু মাজাহ্ ৩৬৭, দারিমী ৭৩৬, ইরওয়া ১৭৩।
আব্দুল্লাহ্ইব্ন মাসলামা—দাউদ ইব্ন সালেহ্ইব্ন দীনার আত-তাম্মার হতে তার মাতার সূত্রে বর্ণিত । একদা তাঁর মনিব তাকে হযরত আয়েশা (রা)-র নিকট –“হারিসাহ্”-সহ প্রেরণ করেন। অতঃপর আমি তাঁর নিকট পৌছে দেখতে পাই যে, তিনি নামায রত আছেন। তিনি আমাকে (হারিসার পাত্রটি) রাখার জন্য ইশারা করলেন।after
ইত্যবসরে সেখানে একটি বিড়াল এসে তা হতে কিছু খেয়ে ফেললো হযরত আয়েশা (রা) নামায শেষে বিড়ালটি যে স্হান হতে খেয়েছিল সেখান হতেই খেলেন এবং বললেন- নিশ্চয়ই রাসূল্লুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ বিড়াল অপবিত্র নয় । এরা তোমাদের আশেপাশেই ঘুরাফেরা করে। অতঃপর হযরত আয়েশা (রা) আরো বলেন, আমি রাসূল্লুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পানি দ্বারা উযু করতে দেখেছি
(সুনান আবু দাউদঃ ৭৬)